রক্তলোলুপ ডাইনির কন্ঠে উচ্চারিত হয় কী প্রচন্ড দম্ভের বাণী !
---হ্যাঁ আমরা ওদের হত্যা করবো। হত্যা করা হবে ওদের মায়েদেরও।
কোথায় তুমি শুভবোধের ঈশ্বর?
কবে ভাঙ্গবে তোমার এই মরণঘুম?
সাম্রাজ্যবাদের থাবার নীচে ঘুমন্ত বিবেকের ঈশ্বর।
পিশাচের পায়ের নীচে সভ্যতা ঘুমায়।আর
শয়তানের প্রবল-প্রতাপ আরেক ঈশ্বর জেগে থাকে গাজার পশ্চিমতীরে
বারবার পূতিগন্ধময় কফিনের ডালা খুলে ডেকে তোলে ঘুমন্ত ড্রাকুলাগুলোকে।
খুব পিপাসার্ত তারা। শিশুরক্ত ছাড়া তাদের পিপাসা মেটেনা।
মায়ের গর্ভাশয়ে লালিত হচ্ছে যে শিশুর ভ্রুণ, তাকেও
হত্যা করছে তারা ; গ্যালন গ্যালন রক্ত টেনে নিচ্ছে
পচাগলা ঠোঁট ও ধারালো দাঁতের ফাঁকে। তবু তাদের পিপাসা মেটেনা।
মৃত্যু উপত্যকায় প্রাণভয়ে কম্পিত ওই শিশুদের ভীতমুখে ফুটে উঠে
আমার সন্তান, আমার উত্তরাধিকারির প্রতিচ্ছবি ।
অবিরত তীব্র ব্যাথার ছোঁবলে ফালি ফালি হচ্ছে হৃৎপিন্ড।
এই শিশুকন্ঠের কান্না-আর্তনাদগুলো বাতাসের কালো পরমানুর সাথে মিলেমিশে
ঘোর অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছে পৃথিবীর মুখ। কি করে মুছবে এই কলংককালিমা?
কবে ঘুম ভাঙ্গবে মানুষের? মানবতার? আদৌ ভাঙ্গবে কি?
অপেক্ষায় আছি---জেগে উঠো শুভবোধের ঈশ্বর। জেগে উঠো মানবতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন