অবশেষে তারা থামলো।
থামলো এসে এক বরফমোড়া প্রান্তরে। আর খোঁজতে লাগলো তাদের আপন আপন পথের নিশানা।তাদের চারপাশ ঘিরে বইছে সীমাহীন নিস্তব্দতার এক বাতাবরণ।মৃত্যুর মতো নিস্তব্দতা? আসলে কথাটা ভুল। মৃত্যুকেও ঘিরে থাকে এক ধরণের কোলাহল, হাহাকারের হৈচৈ ।
এই নীরবতাটা বরফের মতোই। শীতল। জমাট।তারা পাশাপাশি হাঁটছিল। পাশাপাশি। কাছাকাছি নয়।কেউ কাউকে না দিচ্ছিল স্পর্শের আশ্বাস ; না জাগাতে পারছিল সান্নিধ্যের আকাংখা ।তাদের পায়ের নীচে, মাথায়, সমস্ত শরীরে জড়িয়ে যাচ্ছিল হিমকুয়াশার গুড়ি গুড়ি কণা।ক্রমশ তারা হয়ে যাচ্ছিল আরো বেশি শীতল-ঠান্ডা দুই বরফ খন্ড।
এভাবে কত ঘন্টা----বৎসর----যুগ--------শতাব্দী ধরে হেঁটে যাচ্ছে তারা? আর কেনই বা এই সঙ্গহীন সঙ্গ?
এখন তারা ভাবছিলনা এসব।দুজনেরই একধরণের তাড়া ভেতরে ভেতরে।একটা শেষ পথের অনুসন্ধানে ব্যস্ত তাদের চোখ।
শেষপর্যন্ত তারা যেখানে এসে থেমেছে ,সেখান থেকেই শুরু হবে তাদের ভিন্ন যাত্রার আয়োজন।
এই পর্যন্ত এসে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত নারীটি বসে পড়লো ধুলিমলিন সেই প্রান্তরের একপাশে।বললো,
------ " আর পারছিনা আমি। এখানেই থাকি। তুমি এগিয়ে যাও।"
পুরুষটি একটু ইতস্তত ফিরে তাকালো , তারপর এগিয়ে যেতে শুরু করলো। আর--- তারপরে --- আবার ফিরে এলো বা আসতে হলো।
তাকালো তার পায়ের দিকে আর পকেটগুলো হাতড়াতে লাগলো একটা চাবির খোঁজে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন