অনেক আগে পড়া একটি উপন্যাসের অংশ বিশেষ এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে( যতদূর মনে পড়ছে প্রমথ নাথ বিশীর লেখা-- বইর নামটাও মনে নেই এজন্য পাঠক ক্ষমা করবেন)।
এক ছোট ছেলে একটি দেশলাইয়ের বাক্সে কতকগুলো পিঁপড়া রেখে তার ভিতরে একটু একটু করে চিনি ঢালছে দেখে একজন জিজ্ঞেস করছে-----কি রে কি করছিস?তখন ছেলেটি উত্তর দিচ্ছে---পিঁপড়েকে চিনি খাওয়াচ্ছি, ঠাক্মা বলেছে পিঁপড়েকে চিনি খাওয়ালে পুণ্যি হয়।
এই কথোপকথনটি পড়ে খুব মজা পেয়েছিলাম বলে এখনো কথাগুলো মনে আছে। আর এখন বারেবারেই মনে পড়ে যায় এই কথাগুলো।
আমি রাজনীতি নিয়ে কোন আলোচনা করতে চাইনা। ওসবের জন্য অনেক বড়বড় মানুষ আছেন। যারা এসব ভাল বুঝেন এবং আলোচনা করেন। এক দল আলোচনা করেন আর আরেক দল নিজস্ব ভঙ্গিতে তার সমালোচনা করেন। (বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সেই সমালোচনার একটি বিশিষ্ট ভঙ্গি আছে)।এসব পড়ে প্রায়ই বিস্তর জ্ঞান বৃদ্ধি হয় এবং আনন্দের অনেক খোরাকও পাওয়া যায়।
আমার কথাগুলো হল ভিন্ন। খুব সাধারণ একজন নাগরিক হিসাবে-আমি যা চাই তা হলো প্রাণ খুলে কথা বলতে।নিজের পছন্দ -অপছন্দ ব্যক্ত করতে।অন্যের পছন্দ-অপছন্দেরকথা শুনতে।
কিছু পুণ্যকামী মানুষ আছেন যারা সবসময় আমাদের উপকার করে পুণ্য অর্জন করতে চান।তাই বার বার আমরা সেই দেয়াশলাইয়ের বাক্সে ফিরে যাই। বাইরে থেকে বাক্সের ভিতরেএকটু একটু করে চিনি ঢালা হয়।
কিন্তু পিঁপড়া বাক্সের ভিতরে বাতাসের অভাবে মরে গেলে চিনিটা খাবে কে?
রবিবার, ৮ মার্চ, ২০০৯
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন