রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৪

দ্বীপান্তর

নির্বাসনের এই দ্বীপঘরে কোন দরজাজানালাদেয়াল নেই।
আয়না আছে।


বেলজিয়াম গ্লাসের সামনে রিপ ভ্যান উইংকল ;
দীর্ঘঘুমলজ্জায় ম্রিয়মান।

আরশির মুখোমুখি প্রতিশোধস্পৃহাতুর ক্রুর অবয়ব

স্মৃতির লেজে সুতো বাঁধা লালফড়িং উড়ে যায়
টিকটিকির লেজ খসে পড়ে ;
খেলাচ্ছলে বাল্যেই শিখেছি কিছু নিষ্ঠুরতা।


মাঝরাতে ঘামেভেজা দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে গেলে
কান পেতে শুনি নিশাচর পাখীদের পাখসাট ;
জারুলের ডালে কালোপেঁচা, ঘুমে আধবোজা চোখ।

জোৎস্না দেখি।
সোনালী জরির আঁচল লুঠিয়ে একখন্ড আকাশ নেমে এলে
সব দ্বিধাভয় মুছে ফেলে আলোর কারাভাঁ ।

হাওয়া ভেঙ্গে দেয় জলের বিম্বে চাঁদের যে ছবি
আমি তার ভগ্নাংশ কুড়াই সারারাত। স্বপ্ন কুড়াই।
রোজনামচায় লিখে রাখি চাঁদ ও নদীর সখ্যতার কথা;

নদী বলে------------------
'গল্পগুলো জমা রেখো জোৎস্না ও সাগরের কাছে ;
কোন একদিন চকোরপতত্রে এঁকে দিও।'

রাতভর চরকাবুড়ি বোনে মেঘের পোশাক
দেখি বুননকৌশল ;কারুকাজ


মলয়া ঘ্রাণে ঘ্রাণে বলে গেলে বকুল ফোটার কথা;

বাতাসের কানে কানে বলি, ' ভালো আছি দ্বীপান্তরে
 খুব ভালো আছি।'








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন