আজ এমন মনপোড়ানো চাঁদ উঠলো কেন?
জোৎস্নার তীব্রকলরবে ভেসে যাচ্ছে চরাচর।
চাঁদনি চাইনি।
বৃষ্টি চেয়েছি।
আজ এই শহরে অঝোরবৃষ্টি নামুক।
সবুজপাতারা সারাদিন বৃষ্টিপ্রত্যাশায় আছে।
বাচাল এক টুকরো ঝড়োহাওয়া নীপবনের গল্প শোনাতে এলে,
বলি--চুপ করে থাকোনা আরো কিছুটা সময়।
মেঘের ভেলায় চড়ে বৃষ্টিধারায়
নেমে যাবে একঝাঁক সাদা রাজহাস ;
কোলাহলে থমকে গেলে, ফিরে যেতে পারে।
যখন কাশগুচ্ছমেঘদল ভীড় করেছিল
কামিনীঝোপের মাথার উপরে ;দেখা হয়নি।
অন্যমনে ভাবছি তখন অঝোরবর্ষণের কথা।
এই অভিমানে জলরাশি দূরে সরে গেছে ; জানা হলোনা।
আজ তুমুল বেজে যাচ্ছে বৃষ্টিশৈশবের স্মৃতিমেদুরতা।
ভীষণ দুলছে কাগজের নাও ;
অতলজলের দেশে মৎসকন্যা ;
নোলক হারিয়ে গেছে পাতালপুরিতে ;
প্রবলধারার ভেতরে রেনু রেনু ছড়িয়ে গেল ,
প্রথম কদমদিনের পাপড়িগুলো।
এক খন্ড অলস উড়োমেঘ খুব উদাসীনতায় ঈশানকোণের দিকে
উড়ে গেলে ---মনে হলো আজ আর বৃষ্টি হবেনা।
চাতকেরা অভিশাপ ছড়াতে ছড়াতে দূরনীলিমার পথে
হারিয়ে গেলে
বাতাসের মীড়ে মীড়ে মিশে গেল বিষাদের সুর।
ধারামগ্নতায় জলপাহাড় গড়েছি আজ সারাটা বিকেল
ছড়িয়ে দিয়েছি ঘাসে ঘাসে
ফড়িংয়ের ঠোঁটে ঠোঁটে সেই শুভসংবাদ পৌঁছে গেছে
গাছে গাছে, লতায়পাতায় ;
কেতকীকেয়ার ফুটি ফুটি কুঁড়িগুলো প্রতীক্ষায় আছে।
আজ কেন তবে বৃষ্টি হবেনা?
আজ এই শহরে অঝোরবৃষ্টি নামুক।
রাতের আকাশ চিরে বেজে যাক জলঝরনামৃদঙ্গের তান ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন