শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

আগুনের পাখিঃফিনিক্স


ভস্মস্তুপ থেকে আবার এসেছে উঠে, অবিনশ্বর আগুনের পাখী ;ফিনিক্স ।




প্রতিবন্ধী এক ঈশ্বরকে যুপকাষ্ঠে বলি দেবার পরে
যারা সন্যাসীর বাঘছাল দিয়ে বানিয়ে নিয়েছিল ট্রাম্পেট
আর সেই প্রচন্ড ঢাকের শব্দ ছড়িয়ে দিয়েছিল বাতাসের পরতে পরতে
তারাও কি পথ ভুলে নেমে গেলো কালো এক অন্ধকার গুহার দিকে?
ভুল করে বন্ধ গুহার ঘুলঘুলি খুলে গেলে
অবাঞ্চিত রোদ
রবাহুত শব্দের হৈচৈ ওঠে।
বন্ধ গুহাই নিরাপদ।বন্ধই থাক।

যুগে যুগে মানুষ কেবল শুনেছে
আগুন উগরে দেওয়া পাহাড়ের কথা।
 লারারিয়ায় এখনো অঙ্কিত আছে ভিসুভিয়াসের সাপ।


তীব্র হুইসেলের শব্দে দোলে ওঠে জলসাঘরের ঝাড়বাতি ;
অস্থির আলোর রেখাপথ ধরে আত্মবিনাশকামী পতঙ্গ ওড়ে ।

অগ্নিরহস্যসন্ধানী পতঙ্গেরা
 বারবার সে রহস্য জানতে  চেয়েছে
কী এমন ক্ষোভে ভলকানোর আচমকা এমন তীব্র ফোঁসে ওঠা।


অবশেষে
সমস্ত জমাট বরফ গলে গেলে দেখা গেল
রক্তমাংস নয়-----রঙীন পোশাক মোড়া কংকাল ছিল।


জানালার পাশে ছাইবর্ণ মেঘ
ঈশানকোণের বার্তা নিয়ে আসে-----
ছায়াপথ ধরে আবার আসবে ফিরে কফিনবন্ধী ঘুঙুরগুলো ;
যারা এখনো খুলেনি নাচের পোশাক,
ভুলেনি কত্থকের  'তেরে কেটে ' মুদ্রার বোল
একে একে ফিরবে সব  নাচঘরের  বেলোয়ারীআলোর বাসরে।
আবারো
 অদ্ভুত জোনাকীর আলো থেকে আসবে উঠে সেই নৃত্যপটীয়সী  ময়ুরগুলো
যারা অবারিত জলনৃত্যের শ্রান্তিতে রঙীনপালক ঝরিয়ে দিয়ে
উড়ে গিয়েছিল অচেনা মেঘপথের উজানসন্ধানে।


আবারো নতুন আঁচড়ে আঁচড়ে বিক্ষত হবে সোনালিডানার রেখাচিত্রগুলো;
পালকে জলের ভার অসহ হয়ে গেলে
আবারো জন্মান্তরের পথে ফিরে যাওয়া ?






















কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন