শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯

যেভাবে ঘন্টাগুলো বাজে

এই যে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতরে অনুপ্রবিষ্ট আত্মাগুলো
আমার সমস্ত সমৃদ্ধি আর সম্পন্নতাটুকু তাদের কাছে ঋণী।

দ্বেষণার কেন্নো-কেঁচো আগলে রেখেছে পা
ঘিনঘিনে কেঁচো-নৃত্যে হাস্যকর তাল-লয়;
তোমার নুপুরের ভাঁজে এক পাল কৃমি-কীট
নেচে যাও, নাচলে পয়সা মিলে--নিদেন হাততালি।

তুমি কি জানো আমিওযে খুব কলা-কুশীলব
নাচের প্রতিটি মুদ্রা আমার আয়ত্ত?

ডিং ডং ডিং ডং
যেভাবে সন্ধ্যারতিতে গীর্জার ঘন্টাগুলো বেজে ওঠে
তেমনি আমার ভেতরেও বেজে ওঠে এক সতর্ক নিনাদ
আড়মোড়া ভাঙ্গে অগ্নিমান ক্রোধের দানব
তোমার উদগ্র লুব্ধতাটুকু নিমেষেই ভস্ম করে দিতে পারে;
কঠিন নিগড়ে বন্ধী করে রাখি।

তুমি আমার যোগে নেই।বিয়োগেও না।

তোমার উঠোন আর আমার দুয়ারে সহস্র যোজন ফাঁক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন