শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭

রঙ



কারো গাঢ় নীল চোখ
বেজে যাচ্ছে বেদনার্ত সেতারের মতো ;
যেন ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে এক খন্ড আকাশ,
যেন এক্ষুণি জন্ম নেবে এক নতুন সমুদ্র।
অথবা মনে করো
এক বিভোর উদ্যানে অপরাজিতা ফুটেছে অনেক
যেন নীল নীল ভোরের আধখোলা জানালায়
সবুজ ঝালরের ফাঁকে উঁকিঝুঁকি দেয়া সকালের দূত।
আকাশ অথবা সমুদ্রের এই প্রগাঢ় রঙ
আনন্দ নাকি যন্ত্রণার এই প্রশ্ন ভুলে
এক মনোরম ল্যান্ডস্কেপে বিমুগ্ধ,
তাকিয়েই থাকি।
মাঝেমাঝে
দুঃখ ও সুখের সব রঙ বুঝি এমনি একাত্ম!

এখনো দুই হাতে বিবর্ণ ধূসরতা মাখা,
ছায়াটাকে আততায়ী ভেবে নিয়েছি সন্ন্যাস ;
রঙিন ফানুশ ওড়ানো কালে
এই চিত্রকল্প খুব বেমানান মনে হয়।

চোখের ব্যাথা দেখি,
অথবা নীলকণ্ঠ ফুলের সুন্দর
কথাতো একটাই
আমার বিবর্ণ ধুসর হাত নীল ছুঁয়ে থাকে।
মনে হয়
এইসব রঙের বিপরীতে ভিন্ন কোন রঙ নেই,
ছিলোনা কোথাও।



সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭

সসেমিরা সময়



গোপন কোঠরে চুপচাপ বসে থাকি ;
আমার চারপাশে গল্প তৈরি হয়
গাছের, ছায়ার, ঝরাপাতা আর শামুকের।

অঙ্গন
তার ছায়ার ভেতরে টেনে নিয়েছে,
একটি গাছ
ডালপালাসহ পাখির ছোট্ট ঘর।
পাতার উপরে পাতা ঝরে গেলে
আধো আধো নূপুরধ্বনি বাজে ;
যেন
তবলার বোলের অপেক্ষায় তৈরি নাচের মেয়েরা
আনমনা টুকছে
অস্থিরআলতো পায়ের ঘুঙুর।
বৃক্ষের এই ছায়ামগ্ন বিলাসের মাঝখানে
আমারো কী কোথাও একটুখানি প্রাপ্যছায়া
পড়ে আছে?

গল্পপাঠে - সাদা পৃষ্ঠায় নিবদ্ধ উৎসুক চোখ ;
পাপড়ির নীচে জমা
হাজারবছরের প্যাপিরাসকথা,
এক  অতল অন্ধকার
টানেলবিভ্রান্ত পথিকের গল্পটিও।

ক্যামেরায় ত্রস্ত শাটার টিপে
প্যানোরামার ভেতরের রহস্যরক্তিম  এক ছবি
তুলতে গেলে
সমস্ত চিত্রপট উধাও, ঘোরলাল মেঘের আড়ালে।
দৃশ্য কি  নিজেই নিজেকে লুকোয় আগুনের আঁচে?

জলভারে নত হয়ে আছে  সসেমিরা ঘড়ির সময়।






শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

ইনকগনিটো



সবাই সতর্ক খেলছে। চেস,ট্র‍্যাম্পকার্ড, হাউজির খেলা।
ছায়ার অন্তর্গত ভিন্ন ছায়াবাজির খেল ;
ইন্দ্রজাল আর ছদ্মবেশের চৌকাঠে
পা আটকে যাচ্ছে বারবার।

হয়তো-
তোমার পিংক বাথটাবের কানাভর্তি স্বচ্ছতার
আড়ালে আছে কোন প্রাণঘাতী দাহক ;
উপুড় অডিকোলনের শিশি ঢাললেই
রুদ্ধ হবেনা তার জ্বলনস্বভাব।
বিপরীতে -
গায়ে ভীতিকর রোঁয়া ফুলিয়েফাঁপিয়ে
ভয় দেখাচ্ছে যে হতকুৎসিত শুঁয়াপোকা ;
সে-ও একদিন ঠিক মধুবর্ণী প্রজাপতি হবে।

কোনটা যে কার আসল রূপ!
কে যে কোন আড়ালে লুকোনো!

কখনওবা আবরণও মনোহর
চরকির ফ্যাঁকাসে কাগজে
চড়ারঙের প্রলেপ মাখানো ঘুর্ণনে বুঁদ হয়ে থাকি।

একটি গাঢ়রাত যখন তিমিরাশ্রয়ী আরেকটা রাতকে
আবরণ খুলতে বলে ;
অন্যরাত অবজ্ঞায় পাশ ফিরে শোয়।
যেন সে বধির। যেন সে স্পর্শস্পন্দনহীন।

দেয়াল এঁকে যাচ্ছে ঝড়মন্দ্র বাতাসের করতাল
ফুটে ওঠে একটা হাঙ্গরভয়ের ছায়া
ঝরে যাচ্ছে সব আচ্ছাদন.........

আড়াল ভালোবাসি আমিও তো।


বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭

দুই হাতের ফাঁক





এরেনার ভেতর
একজন নবিশ গ্ল্যাডিয়েটরকে ঠেলে দিলে
সেও একবার ঘুরে দাঁড়ায় প্রাণের তাগিদে।

বিস্তর ভুলভ্রান্তি ফাঁকিজুঁকি ভরা বাল্যশিক্ষার সিলেবাস।
রূপকথার ঠাসবুনট ভরা শৈশব
দাদীমার মনোহর গাঁথা ;খরাহীন, জরাহীন
শুধু স্বপ্নের বাড়বাড়ন্ত গোলাঘর ভরা। শেখায়নি জীবন।
কেউ বলেনি
অনাগতঅরোধী এক রণক্ষেত্রের কথা।
হয়তো 

উড়ন্ত ফড়িঙের লেজে সুতো বেঁধে দিলে
তার আকাশ সীমিত হয়ে যায় ভেবে।

মোড় ঘুরতে ঘুরতে সব পথই বাঁকা
অনায়াস উদ্যানের কোন মহাসড়ক নেই।
কোন পরাভব নয় ।
নুড়িকাঁকর বিছানো পথে টলোমলো পা ফেলতে ফেলতে
এক বৈরি মহাকালকে বৃদ্ধাগুষ্ঠি দেখানোতে কোন বিভ্রান্তি ছিলোনা।

শুধু
ঘুমের বিছানায় মাঝেমাঝে মনে হয়
দুই হাতের মাঝখানে এতোখানি ফাঁক হলো কবে!






অগ্নিমুখো ড্রাগন


একটা ধুসর জামার ভেতরে রাত
তার ইনসমনিয়াক দৈত্য পোষে রাখে।
আমি রাখতে চেয়েছি ঘুম
আর
স্বপ্নের ঠিকাদারি।


ক্লান্তদেহ, নিমীলিত চোখ
তবু
করোটির ভেতর হৈ চৈ কোলাহল, কথার মিছিল।
নীরবতা--
অনায়াস দ্রুততায় বাচাল স্মৃতির অর্গল খুলে ফেলে।
কর্ণিয়ার ভেতর বুদবুদফোটা দৃশ্যের রঙধনু।
জ্যোৎস্নার প্লাবনে কোন রাতে ভাঁটফুল ফোটেছিল
সোনালী ঢেউয়ের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল
সব দ্বিধার আড়াল।



বাক্যের কারাভাঁয়
ভেসে চলে আসে অনুচ্চারের গল্পগুলোও
সেইসব গোপন গভীর ;যা কাউকে বলা হয়নি।
বিস্মরণের প্রচ্ছন্নগুহায় শায়িত
সারিসারি পাথরচাপা লাশ পুনর্বার জেগে ওঠে।
ঘুমের চৌকাঠ পোড়াতে
একটা অগ্নিমুখো ড্রাগন ছুটে আসে।



কেমন আছো তুমি


কেমন আছো সম্রাজ্ঞী?
কেমন চলছে তোমার রাজ্যপাট?


সব ক্ষয়দাগ, ক্ষতচিহ্ন ঢেকে দিতে
হাসির থেকে গাঢ়তম মেইকওভার নেই কোন।
কিন্তু--
মুখোশের মাঝেই কী আছে তেমন নিগূঢ় কোন রহস্যময়তা?
তীক্ষচোখ দৃষ্টিতে চেনা যায় সবই।

কেউ কেউ
খুব চড়াদামে কোঁচড়ভরা হিম কিনে আনার পর
অগ্নিপিপাসু করতল মেলে রাখে উত্তাপের পাশে
বেখেয়ালে পুড়ে গেলে, এন্টিসেপটিকে ঢাকা হাত পিছনে লুকায়।
পাতাঝরা ঋতুকালে পাখি উড়ে যায়
আমাদেরও যেন সব জেগে ওঠে তীব্র বিষাদবিরহ।
ভুলে থাকি
বাউলের মতো বেভুল বিবাগী এক মন নিয়েও
আমরা বিহঙ্গ নই ; একটি ক্ষীণকায় চড়ুইও না।

মেঘ উড়ছে,পিছু পিছু পাতা উড়ে যায়
মেঘ ও তার বাড়ির মাঝখানে এক হিমনীল দীর্ঘশ্বাস ঝুলে থাকে।




বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

বৃক্ষের মতো






 ছায়াবাঁকানো পথটা চলতে চলতে
কোথাও না কোথাও হুটহাট ঢুকে পড়বে
কোন অচেনা গলিতে।

ক্রমশঃ সাহসী হয়ে উঠা মুমূর্ষু গাছ
আনকোরা কুঁড়ি ও পল্লবের জেগে ওঠা ;
এসব দেখলে ---
স্বপ্ন দেখার সাহস ফিরে আসে। ত্রাস কেটে যায়।

গ্লেসিয়ারে অনিচ্ছুক ঢুকে পড়া
মত্ত তুষারঝটিকার হাড়ভেদী হিমের কীলক
মৃত্যুভয়ে কেঁপে ওঠা ; মনে থাকেনা।

কোন না কোন একদিন
রোদের চোখের ভেতর থেকে
আমিও উপড়ে ফেলবো তার ছায়া।আমি।













নীলকন্ঠ বেহালাবাদক



 ডানা ঝটপটানোর শব্দ উঠলে বোঝা যায়
বুকের মাঝখান থেকে কিছু একটা উড়ে চলে গেলো।

নিশুতিরাতের ভায়োলিন বাঁধা থাকে কৃষ্ণতরঙ্গের ছড়ে
বাতাসের মীড়ে অব্যক্ত ব্যাথার কম্পন বেজে ওঠে।
যখন হাওয়ার লহর থেকে কুড়িয়ে নিই
টুকরোটুকরো সুরের নির্যাস
তীব্রব্যাথার নীলে দুটো হাত শিরশির করে ওঠে।

আমিইতো নীলকণ্ঠ!
আমিইতো সেই বেহালাবাদক!












ইল্যুসন






 হ্যাঁ তোমাকেইতো!
যুগ যুগ ধরে খুঁজেছি তোমাকেই।

 শুধু যুগ? অনন্ত মহাকাল নয় কেন?
চেনাঅচেনা সমস্ত মুখের ভীড়ে তোমার আদল....
ব্যস্ত সড়ক পার হতে হতে
প্রতিটি পথিকের দিকে খরচোখে তাকিয়েছি।
তুমি কোথাও ছিলেনা।হয়তো থাকোইনা।
তুমি যে থাকোনা --- তুমি যে অলীক
কেউ বললোনা সে কথা। অনেকেই জানে।
হয়তো বড়রাস্তার ওই যে পাগলটা
মাঝেমাঝে মুখোমুখি হয়ে গেলে
সন্ত্রস্ত সতর্কতায় দ্রুত সরে যাই, সেও জানে।
হয়তো কাউকে একদিন এমন করে সেও খুঁজেছিল।
সে জানে! আমি জানিনা!

শেষপর্যন্ত জেনেছি আমি
'তুমি' এলকোহলের ঘোরে তৈরি এক ইল্যুসন
খোয়ারি ভাঙ্গার পরেই যা মিলিয়ে যায়।
এই অনর্থক বোধের জন্য মানুষ কতোপথ
অহেতুক হেঁটে গেছে!
কেউ কোনদিন তাকে পায়নি।

পায়না।

.

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

আকাশবাড়ির চিঠি

আকাশের পকেটে কোন ডাকবাক্স আছে?

চিঠি উড়ে যাচ্ছে একটা প্রগাঢ় নীল অভিযাত্রার দিকে
শূন্যের সাথে শূন্যের দ্বন্দ্বজ কোলাহলে কে বেশী বেগবান
নির্ধারিত হোক।
হিপনিক জার্কসে ঘুম ভেঙ্গে গেলে
বুকের মাঝখান থেকে এক জোড়া সারস উড়ে যায়
অন্তহীন মেঘের বাড়ির পথে.......
একটি প্রবল ঘুম দ্রুত পতনোন্মুখ
অভ্রংলিহ পাহাড়ের চূড়া থেকে নিতল গহ্বরে।
আহা স্বপ্ন! সূর্যমহলের সিংহদুয়ারে আটকে পড়া স্বপ্নগুলো!
মনোশরীরবৃত্তে বন্ধী ঘুম অথবা স্বপ্নের প্রতি
তর্জনী তাক করা ; অভিষঙ্গবাহুল্য।  মনে হলো এমন।

রাত বেয়ে নেমে আসে কাঁকরভেজা এক পথ
শিথানে চুলের গোড়া থেকে ঝরে পড়ছে মেডুসার সাপ......

বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

এবং দ্বিতীয় আমি




ম্যাজিক মিরর।
এপাশেও প্রতিচ্ছবি। ওপাশেও।
তোমাকে দেখছি আমি।তুমিও কী দেখছো আমাকে?

জেনে নাও
আমরা কোনদিন হাত ধরাধরি করে হাঁটবোনা
রোমান্টিক কাপলের মতো।
মাঝখানে অভঙ্গুর কাচের দেয়াল ;
তবু অলৌকিক স্পর্শ ছুঁয়ে যাবে, যাচ্ছে।
অহোর্নিশ অন্তর্গত যুদ্ধ হবে। সমঝোতা হবে।
মাঝেমাঝে, --' তোমার তুমিকে বড়ো ভালোবাসি' বলে ফেলবে বেখেয়ালে।
আমিও তোমাকে এমন কিছু.....

আমরা আজীবন সমান্তর দূরত্বে।
আমরা আজীবন পাশাপাশি।

আমরা এক নই।
অবিচ্ছিন্ন নই।তবু আমাদের বিচ্ছেদ হবেনা।
পৃথিবীর নিক্তির মাপে দুজন একত্র।
কিন্তু আমরাতো এক নই -- দুজনেই জানি।আমরা দুজন।
শুধুমাত্র অন্যোন্য।
আমরা পৃথক নই তবু আমৃত্যু বিভেদদহন বয়ে চলি।

আমি
এবং
দ্বিতীয় আমি।



বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

হাওরের কান্না






আকাশকে মানায়না অসময়ের এই বৃষ্টিবিলাস।
এখন ইলিশখিচুড়ির বিলাসিকথন বড় বেমানান।

কেন এমন ভাঙ্গছে আকাশ?
কেন এমন প্রচণ্ড ঝড়
প্রকৃতির এমন তাণ্ডব?সব লণ্ডভণ্ড - তছনছ।
আকাশের পাথরখন্ডগুলো খেয়ে নিলো
কৃষকের ধানিজমি, ক্ষেতভরা ধান;গ্রাসাচ্ছাদনের পথ।
ঘর ভাঙ্গল।ভেসে গেলো জনপদ; এমন বন্যার কোপ!
মানুষের হাহাকারে ভেসে যাচ্ছে হাওর-নদী-বিল।
মানুষ কোথায় দাঁড়াবে?
ছোট্ট একটি কুঠির। লাউমাচা। গবাদিপশুর ঠাঁই। সব।
সব ভেসে গেছে।
কোথায় পরিত্রাণ
কীভাবে মানুষের এই অবিচ্ছিন্ন কান্নার অবসান হবে?

মানুষ দাঁড়াও আজ বিপন্ন মানুষের পাশে।
এই প্রতিকূল প্রকৃতি ; এই যুদ্ধে
বেঁচে থাক মানবতা, হাতে হাত রাখা  সুদৃঢ় বন্ধন।



মেয়েটা



মেয়েটা আসতো মাঝেমধ্যে ছেলেটার খোঁজে।
          ---- এমন বললো পুরনো বাড়িওয়ালা।
আসতো চোখভরা এক আকাশ মেঘ সাথে করে
আচমকা বৃষ্টিতে চৌকাঠ ভিজে যেতো।
সেই প্রবল বর্ষণের  ভেতরে বিষন্ন
পা টলোমলো করতে করতে ফিরে যেতো ;
তার কোন বর্ষাতি ছিলোনা।
পুরনো ঠিকানায় রোজ মেয়েটার চিঠি।জমে জমে স্তুপ ।
স্থান সংকুলানে মাঝেমাঝে ফেলে দিতে হয় ডাস্টবিনে;
ছেলেটা দেয়নি তার নতুন ঠিকানা।

ড্রয়ারভর্তি স্মৃতির কোলাজ সামনে নিয়ে বসে থাকে মেয়ে।
পুরনো এলবাম। কাঁশবন।শূন্যে উড়ে যাওয়া যুগলবন্ধী ছবি;
ফ্যাঁকাসে হতে হতে সাদা মেঘের কিনারা ছুঁয়েছে ।
হুডখোলা রিকশায় শহর মুঠোয় পোরা দিন ;
সব নিয়ে চলে গেছে ছেলে।

মেয়েটা
ব্যাগভর্তি ঘুম কিনে নিয়ে আসে।



সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭

মিউট




 একটা ঝাপসা রাতের ভেতর জুড়ে বসে আছে
আরেকটা কুয়াশামোড়া রাত।
মর্মরের ঘুঙুর বাজার অপেক্ষায় খোলা ছিল একটি জানালা।

তখন।
যখন আমরা শিখে নিয়েছিলাম
অন্ধকারের স্যাঁতসেঁতে আলোয়ানের ভেতর থেকে কিভাবে সবুজ পায়রা
ওড়াতে হয়,
প্রবল হিমের ভেতরে বেড়ালের ওম মাখা পশমী আমেজ।


ঘোর মহুয়া আর মাদলের মাতাল তালে বেজে যাচ্ছে কেউ।
আমিতো সব মিউটেই দিয়ে রেখেছিলাম!







রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭

ঈশ্বর



 আকণ্ঠসূরার ভারে টলতে টলতে কোথায় যাচ্ছে এ  মাতাল শহর!

আমাদের ঘরে কোন ঈশ্বর আসেননা।
মেঘ ছিঁড়ে ঝুম বৃষ্টি নামলেই,
আধোঅন্ধকার ঘরে
থোবড়ানো বিয়ারের ক্যান হাতে কেবলই ঝিমান।

আমরা দিনরাত্রি তার তপস্যায় থাকি
প্রার্থনারত হাতগুলো থেকে মাঝেমধ্যে 'আহা ' ধ্বনি বাজে।

মাত্র আধহাত দূরে পানপাত্র রেখে
যে লোকটা অসীমধৈর্যে বসে আছে
ঠোঁটে ছোঁয়ালেই শেষ হয়ে যাবে ভয়ে ;
সেই সুস্থির লোকটাকেই ঈশ্বর মনে হয়।

এই যে এখন, টালমাটাল পায়ে হেঁটে যাচ্ছে একজন ঘোরমাতাল

যদি ঠিকঠাক দরোজায় ঠোকা দেয় সেও তো ঈশ্বর হয়ে যেতে পারে....