বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫

একাকীত্ব



একাকীত্ব দাঁড়িয়ে আছে ধু ধু শূন্যতার ছাইবর্ণ মাঠে।


সুনসান প্রান্তরে বেজে উঠুক কিছুতো শব্দ
তুর্যনাদে আকাশের চোখ খুলে দিয়ে
না হয় একটু কাঁদলো পৃথিবী, ' মিয়া কি মল্লারে'  ।


মেঘ ঢেকে রাখে তারার আকাশ;নক্ষত্রবিহীন নিঃসঙ্গতা।
অন্ধকার ঢেউয়ের দোলনায়
জেগে থাকে প্রখর অনিদ্র রাত ;
ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুমের ভেতরে স্বপ্নের লতাপাতা বেড়ে ওঠে
চৌরাশিয়ার বাঁশি কাঁদে
টুপটাপ বকুলের বিরহগান বাজে  ;
আর কিছু নয়
শুধু একটি রাত ঘুমোতে চেয়েছি সিডেটিভহীন ,
পাপড়িপালকের উষ্ণ আদরে।

চরে শিকস্তির চিহ্ন রেখে নদী কেন সরে  সরে যায়?














মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৫

দুই তারে


দুটোই।
লোহার শেকল অথবা সুক্ষতম রেশমি সুতো।
 অবাক সময় দোল খায় চিকন তারের টানে!


হালখাতায় লিখে রাখছি নগদবকেয়া হিসাব-নিকাশ
আবার হুট করে ঢুকে যাচ্ছি সমান্তরে ।ছেড়ে দিয়েছি ঘুড়ির সুতো ;
নাটাইসুদ্ধ।
কৃষ্ণভৃঙ্গের হুলের ভেতর ঢুকে পড়ছে বেহিসেবী দোদুল্যমানতা ।

ভাসানের প্রতিমা হয়ে কতবার ভেসে গেছি
আবার ভাটিতে ফেরা অবিকল নয় ; অবয়বে স্রোতের আঁচড়চিহ্ন ।
জল টেনে নিয়েছে  অশ্রুর মতো মুক্তোদানাগুলো ।

 হাতগুলো  পাথরপাথর  ;
কিছুই ধরতে পারেনা
না ফুল
না অমৃতপেয়ালা।
নোনাজলে ক্ষয়ে গেছে পা।

শৈত্যপ্রবাহের চূড়ায় আঁকার কথা ছিল যুগল পদচিহ্নের ছবি ।
ভিন্ন ছবি !
ভিন্ন পদচিহ্ন !   






 

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৫

কাগজের নৌকা




 রাতের বোতল উপুড় করে, দীর্ঘশ্বাসের মদ পান করেছি গোপনে
তার  ক'ফোঁটা ভাগ আমি নদীকে দিয়েছি ;
গড়াতে গড়াতে ঠিক মিশে গেছে সমুদ্রের নুনে।


 আজ আবার বৃষ্টি
 আজ আবার কাগজের নৌকা ভাসানো দিন ;  
                                                                  
  কতদিন স্বপ্নের স্বাক্ষর এঁকে ভাসিয়েছি  রংগীন কাগজ ।

পায়ে পায়ে নিগড়ের নিষ্ঠুর  ঝনৎকার ছিল । পথ ক্ষমাহীন।

আকাশ-উদ্যানের সিঁড়িতে রেখেছি দ্বিধান্বিত পদক্ষেপ
                       
 কত নক্ষত্রের ফুল জমে আছে আকাশের গোপন পকেটে,
 আজো খুঁজে ফিরি।

পাথরে পাথর ঘষা আগুন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে যে  তারার ফুলগুলো ,
আমি কুড়িয়ে নিয়েছি ,
মায়াবতি স্বপ্নের ভেতর থেকে কুড়িয়ে নিয়েছি এক টুকরো চাঁদ।

গন্তব্য অজানা -----
ঘাসফড়িংয়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে
আমিও যে কতবার ঘাস হয়ে গেছি তৃণমূলের জলকণা জানে ।
আজ আবার --
আনমনে ঢুকে পড়ি এক ছবিঘরে
দেয়ালে ঝুলন্ত ক্যানভাসে খুঁজি
মেঠো আলপথ, শিশির ছড়ানো সর্ষের ক্ষেত।



মরফিন-চর্যায় নিঃসাড় পড়ে আছে যে অচেতন দেহ
সে কি সন্নিবদ্ধ হাতের কপাট খুলে
হারিয়ে ফেলেছে জাদুর কপোত !