মাঝখানে কাঁচের দেওয়ালজোড়া অভিমান;
কে কাকে ফেরায়?
হাঁটতে হাঁটতে অবিসংবাদিত একটা গোলচক্কর
চারদিকে চারপথ ; কুহকীমায়ার ইশারা।
বেখেয়াল নাজুক হাতের বন্ধন খুলে
কে যে কোন পথ ধরে চলে গেলো!
রেখে যায়নি কোন পদছাপ।
এক ঘোরলাল কৃষ্ণচূড়া দুপুর
দূর গোধূলির পথে বেঁকে যেতে যেতে
পিছু ফিরে একবার দেখে নেয়
আর কতো বাকী আছে
রংয়ের প্রলেপ মাখা মধ্যাহ্নের ছায়া।
অস্তমিত বিকেলের পথ জুড়ে রক্তাভ পাপড়ি,
লালগালিচা বিছানো পথে একটি সন্ধ্যা নেমে আসে
আকাশের শামিয়ানায় গুড়ো গুড়ো ছড়ানো
আবীর আবীর কিছু রাগরং;
চৌরাশিয়ার বাঁশিতে কাঁদে ইমনকল্যাণ,
উলোঝুলো পথেপ্রান্তরে বাজছে সায়াহ্ন।
ভরসন্ধ্যার খাতা খুলে দেখি
তরঙ্গের ধ্যানমগ্ন মুদ্রার বিন্যাস,
যা কখনো শেখোনি তুমি জোয়ারভাটিতে;
অগাধ জলের শিথানে চোখ রেখে
দেখে গেছো শুধু মাছেদের কেলি
শেখোনি মাছের প্রকারভেদ,
কানকোর ভিন্ন গঠনপ্রকৃতি।
নোনাজল দেখেছো শুধু,
দেখোনি নিষিক্ত চোখের পাথর।