সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

শুভ্র শূন্যতা

আয়না তোমাকে পরিচিত করে তোমার মুখের রেখাগুলোর সাথে অথবা জাগিয়ে তুলে সুপ্ত নার্সিসিজম, নির্ভর করে তুমি কিভাবে ব্যাবহার করছো তোমার নিজস্ব দর্পণটাকে। তবে তুমি যা নও তা দেখতে চেয়োনা।ঠকে যাবে । তোমার বুঝতে হবে , নার্সিসিজমেরও একটা সীমা আছে।
বরং তোমার প্রতিবিম্বটাকে রেখে দাও পাখির চোখের ভেতরে ।

কানামাছি খেলায় তোমার চোখে বাঁধা রুমালটা প্রজাপতি হয়ে গেলে , হারজিতের কথা মনে থাকেনা। সামনে তখন কেবল কতগুলো রং অথবা মিলিত বর্ণচ্ছটার রংধনু ।রংগুলো আলাদা করে ফেলো । তুমিতো জানোনা কোনটা আসল রং। খুঁজে নাও। কিন্তু মুছে ফেলোনা ডানার পরাগ। সব রংয়ের উৎসতো এটাই।
  আয়নার কাচে যখন বিম্বিত হবে রংগুলো তখন দেখবে সব বর্ণসমন্বয়েই ফোটে ওঠে ----শুভ্র শূন্যতা।



বুধবার, ১১ মার্চ, ২০১৫

রঙীন চশমা





দৃশ্য বদলায়না
কেবল চশমার কাচ বদলায় ।

মাঝে মাঝে
যখন—শীতের কুঁকড়ে যাওয়া পাতার মাঝেও
লিখে ফেলছি জীবন ;
বিবর্ণ ঘাসে
এক টুকরো সবুজ উষ্ণতা গড়িয়ে পড়ে ।

প্রতিটি স্বপ্নের ভেতরে আমি যে ঠিকানা খুঁজি ,
কাগজকলমে সেই নাম
কেবলই লিখে যাচ্ছি ভুল বানানে।
বানান-বিভ্রাটে গন্তব্যের ভুল !

ফেলে যাচ্ছি রঙীন কাচের চশমা।