কোথাও নতুন আরেক চোরকুঠুরি তৈরি হলো ;
কোথাও জমাট বাঁধে আরো কিছু গাঢ় অন্ধকার।
স্থির হও। স্থির
চরকির বংশদন্ডের মতো ।
যখন তোমার চারপাশে হাওয়ার তালে তালে ঘুরবে
রংগীন কাগজের ঘুর্ণাবর্ত ; পৃথিবীর উল্লাস ,
তোমার মনে হবে --
আহা! যদি হতাম ইন্দ্রধনুডানার শিতিকন্ঠ পাখি ,
কেউ না কেউতো কুড়িয়ে নিতো আনন্দের একটি পালক !
তোমার আকাশ দেখা জানালায় কুরুশবুননের রেশমিজাল
বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে দীর্ঘশ্বাসের প্রতিধ্বণিগুলো ।
তুমি জানো
সবাই ময়ুর নয় ,
কেউ কেউ ফুল ও পাতা ঝরানো কষ্ট বুকে নিয়ে
বৃক্ষ হয়েই বেঁচে থাকে।
কবে
কত যুগ আগে যেন
তোমার জানা হয়েছিল 'নিঃসঙ্গতা ' একটি হিংস্র ময়াল
তার কিলবিলে স্পর্শে বারবার বিবমিষা এবং শ্বাসরুদ্ধকর ভয় ।
চাঁদের ঘোরলাগা দেয়ালে
হুট করে একটি ধুসর টিকটিকি নেমে আসে ,
পতঙ্গভুক বীভৎসতা দেখতে চাওনি ;
বিচ্ছিন্ন করেছো সোনালি কারুকাজের দেয়াল।
পাখির কাছে ধার করেছো যে দু'টো ডানা ,
আভারনাসের বিষবাষ্পে তারও পালক পুড়ে গেছে।