বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

বিষ নিঃশ্বাস


 কোথাও নতুন আরেক চোরকুঠুরি তৈরি হলো ;
 কোথাও জমাট বাঁধে আরো কিছু গাঢ় অন্ধকার।





 স্থির হও। স্থির
চরকির বংশদন্ডের মতো ।
যখন তোমার চারপাশে  হাওয়ার তালে তালে  ঘুরবে
রংগীন কাগজের ঘুর্ণাবর্ত ; পৃথিবীর উল্লাস ,
তোমার মনে হবে --
আহা! যদি হতাম ইন্দ্রধনুডানার  শিতিকন্ঠ পাখি ,
কেউ না কেউতো কুড়িয়ে নিতো আনন্দের  একটি পালক !

তোমার আকাশ দেখা জানালায় কুরুশবুননের রেশমিজাল
বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে দীর্ঘশ্বাসের প্রতিধ্বণিগুলো ।
তুমি জানো
সবাই ময়ুর নয় ,
কেউ কেউ ফুল ও পাতা ঝরানো কষ্ট বুকে নিয়ে
বৃক্ষ হয়েই বেঁচে থাকে।

কবে
কত যুগ আগে যেন
তোমার জানা হয়েছিল 'নিঃসঙ্গতা ' একটি হিংস্র ময়াল
তার কিলবিলে স্পর্শে বারবার বিবমিষা এবং শ্বাসরুদ্ধকর  ভয় ।

চাঁদের ঘোরলাগা দেয়ালে
হুট করে একটি ধুসর টিকটিকি নেমে আসে  ,
পতঙ্গভুক বীভৎসতা দেখতে চাওনি  ;
বিচ্ছিন্ন করেছো সোনালি কারুকাজের দেয়াল।



পাখির কাছে ধার করেছো  যে দু'টো  ডানা ,
আভারনাসের বিষবাষ্পে তারও  পালক পুড়ে গেছে।










সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৪

চাঁদের কৌটায়



 ছায়াটা উড়ে যাচ্ছে  স্যাঁতসেঁতে হাওয়ার ঘেরে
একটা মিশকালো দাঁড়কাকের মতো ।
আর আমি
গণিতের শূন্যগুলোকে কমাতে কমাতে নিয়ে আসছি
একক সংখ্যায়।

যখনই দীর্ঘঘুমের ব্যাকুলতা
তখনই  মুঠো মুঠো ঘুমের ওষুধ ;
স্বপ্নহীন সিডেটিভ ঘুম।

অন্ধকার বারান্দার স্তব্দ অনিদ্রার সাথে জেগে থাকে
সুনসান এক বিনিদ্র গলি ;
লাইটপোস্টের ছেঁড়া ছেঁড়া আলোগুলো
অভয়বাণীর মতো জ্বলে থাকে সারারাত ,
ঝিঁঝির গুঞ্জরণের সাথে ডানা ঝাপটায় রাতচরা পাখি ।

কখন যে বুকের ভেতরে অনায়াসে ঢুকে পড়ে
একটা বিচ্ছিন্ন  আকাশ -----

চাঁদের রূপালি কৌটায় যে স্বপ্ন জমাই সারারাত
ভোর হলেই কোথায় যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলি !


এক টুকরো সোনালি দড়ি অথবা সুতো