বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১

শূন্যতা

বারবার গ্রাস করে অস্তিত্বহীনতার এক তমসাচ্ছন্ন বোধ।শামুকের খোলের ভিতর গুটানো মাংসপিন্ডকেই 'আমি' বলে ভ্রম হয়।এক কুয়াশামাখা আধো-অন্ধকার ভোরে আচমকা ভেসে আসা এক ঝলক বেলীর গন্ধে আচ্ছন্ন হতে হতে শূন্যতার কথা প্রবল মনে পড়ে।ডানায় তীব্র হাহাকার ছড়াতে ছড়াতে এক ঝাঁক শুভ্রবলাকা নিঃসীম আকাশের দিকে উড়ে যেতে যেতে বলে যায়--'শূন্যতার রং সাদা, কেবলই সাদা'।
জীবনতো বিনাশী নয়।সে শুধু নিজস্ব ভুল--অমৃত ঢেলেছি বিষের পাত্রে।দীর্ঘ শীতঘুমের পরে জেগে দেখি ঘরে-বাইরে আলো-আঁধারির দোলাচল।ঘরের অন্ধকারের সাথে পাল্লা দেয় জানালার বাইরের বীভৎস কালিমালিপ্ত কুয়াশার চাদর।
এই ধুলোবালি-ভীড়ের শহরে কেউ কারো বন্ধু নয়। এক নিঃসঙ্গ -বিবর্ণতাকে সংগী করে সকলেই নিমগ্ন আপন-কোঠরে।
রূপান্তরের সরল নিয়মে আমিও বদলে গেছি।'মেটাফরমসিস' এর তেলাপোকা।
আমিওতো মুখোশ খোঁজার প্রচন্ড অনুসন্ধিৎসায় মানুষের মুখ ভুলে গেছি।
মন তবু কেন সন্তাপে বারবার পোড়ে?মন পোড়ে--স্বপ্নের ভিতরে চন্দনগন্ধী খামে পাওয়া একটি নীল চিঠির বিরহে।চিঠির ভাঁজের ভিতরে ছিল এক গোছা সুরভীত জুঁই ফুল।সে চিঠির পরতে পরতে বেজে ওঠা ইমন-কল্যান,ভীম-পলশ্রীর রাগ সব আজ বিস্মরণের ধুলোর নীচে চাপা পড়ে গেছে।


যেতে যেতে কেউ ফেলে গেছে একটি ময়ুরকন্ঠী পালক।
পালকের পাপড়িতে লেখা একটি কথা--------শূন্যতা।