শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০

শীতল পাথরে উষ্ণ হাত

শরাব হারাম।কসম--আর কোনদিন শরাব ছোঁবনা।
আঁচড়ে ভেঙ্গে ফেলি অমৃত-পেয়ালা;

আমাকে দেখে হাসে কাঁচের চূর্ণ টুকরোগুলো।


উপেক্ষা করে হিতৈষী ভ্রুকুটি
কত কি যে জড়ো করি কাকের বাসার মতো
ধুলো-বালি,ছাইপাশ
যাপিত জীবনের ছন্দে বিঘ্ন-বিসংবাদ।
একবার দুরপাল্লার বাসে যেতে যেতে
সুনসান মাঠ্রের পাশে প্রাচীন বটের ঝুরিতে বসে থাকা
একাকী শালিখের হলুদ ঠোঁটের নিঃসঙ্গতা
জামার পকেটে তুলে নিয়েছিলাম
জমা আছে
রংগীন মার্বেলের টুকরো
এক মুঠো শুকনো ঘাস।

সন্ধ্যারতির ঘন্টার রেশ থেমে গেলে
ঝিঁঝির ধ্রুপদ তালে জোনাকীরা নেচে নেচে ওঠে।

কে রাখে উষ্ণ হাত শীতল পাথরে?
কে বাজায় আগুনের বাঁশী?
জীবন-যাপনের ছন্দ ভেঙ্গে ফেলে
মাদলের নেশা।মহুয়ার বিষ।

সোমবার, ৫ জুলাই, ২০১০

জলের ফোটায় পরমায়ু

পাঠোদ্ধারে মগ্ন থাকি জলের মুকুর।
পুরাকালের এক ছবি।
প্রাচীন পুঁথির টানে এখানেই বারবার ফিরে আসি
স্পর্শ করি কালকুট
ভেঙ্গে ফেলি নদীর মৌনতা ।
ঘোর। কেবলি জলের ঘোর।
প্রগাঢ় ঘোরের নিগড়ে অর্ধেক জীবন বাঁধা পড়ে যায়
বাকী আর কতটুকু ফেরা?ভগ্নাংশের কতটা নিজস্ব?
বিন্দু বিন্দু নীরে ভেজা জীবন যাপনের খাতা।দীর্ণ-জীর্ণ।
কি ভীষণ আগুন-স্বভাব
অভিযোগের উদ্ধত আঙ্গুলগুলো।

শত অকর্তব্যের দায়

কার তুমি
ঘরের?ঘোরের?

প্রতিদিন একটি পালক পুড়ে
ভস্ম-স্তুপের ব্যাপ্তি বেড়ে যায়।

জলবিন্দুতে নিষিক্ত বিষ।
পরমায়ু জলের ফোটায়।