শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০০৯

দিগঙ্গনার ঘর

লিখে যাচ্ছি নিঃসঙ্গতা আর খুলে যাচ্ছে
একটি বাদামী-দরোজা........................

জিতে যচ্ছে
জিতে যাচ্ছে প্রবল-প্রতাপ অবসাদ;

অসহ-দহনে ক্ষয়ে যাচ্ছে আয়ুর সোনালী ডানাগুলো

কোথায় পালাবো?
কোথায় ফিরবো?
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নগরীতে ঠিকানা দিক্‌-চিহ্ন হীন।
অথবা

কোথাও কি কখনো আদৌ কোন ঘর ছিল?



দূরাগত মিহি সুরে বেজে ওঠা বীণ;

স্পর্শাতীত দিগন্ত-বলয়;

দিগন্ত-বালিকার কোন ঘর থাকেনা।

চাইনা বৃষ্টি-----আগুন চাই

দিওনা বৃষ্টি ।
নিভতে চাইনা
গাইছি আগুনের স্তব।সাগ্নিক।

শুধু শুধু জড়ো করি আসর-ভাঙ্গা জলসাঘরের দীর্ঘশ্বাসগুলো
যাবার নিয়মে চলে যায় রূপকথা বলা সবুজ টিয়াটি।তার
অনিচ্ছার একটি পালক শুধু পড়ে থাকে।পুড়াই।
মুছে ফেলি পেলব ঘাসের সবুজ-মমতা।

মুঠোতে মেখেছি জ্যোৎস্না আর
চাঁদের গরলটুকু নিঃশেষে করেছি পান;
দেখেছি হৃৎপিন্ডের নীল রং ।তীব্র।

ভাল আছি।
ঝিনুকের খোলের ভেতরে গুটানোর ভব্যতাটুকু রপ্ত হয়ে গেলে
সবাই ভালই থাকে।এভাবেই।